বইটির বিবরণ
কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম প্রায়শই তাঁর উপন্যাস শুরু করেন সরল ভাষায়, সহজবোধ্য বিষয় দিয়ে। ক্রমশ তিনি অগ্রসর হতে থাকেন মানবমনের গভীরে। একইসাথে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ধারণাগুলো ধীরে ধীরে প্রাণ পেতে শুরু করে উপন্যাসের পাতায়। প্রতিটি উপন্যাস একটি অপরটি থেকে আলাদা হয়ে যায় এর বিষয়বস্তু আর বাকভঙ্গির কারণে উপন্যাস ত্রয়ীর এই আয়োজনে রয়েছে মশিউল আলমের তিনটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- বাবা যেভাবে নাই হয়ে গেলাম ও জুবোচূদ্ধি বুলভার। প্রখ্যাত লেখক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিমের জীবনালেখ্য উঠে এসেছে রাব্বা উপন্যাসের পাতায়। যেভাবে নাই হয়ে গেলাম নামক সামাজিক ফ্যান্টাসি উপন্যাসে জনৈক লেখক-সাংবাদিকের জীবনে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য একটি ঘটনার বিবরণ মূর্ত হয়ে উঠেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কো শহরের একটি সড়ক জুবোফস্কি বুলতার। প্রগতি প্রকাশনের বর্ণাঢ্য কার্যক্রম চলত এই সড়কের একটি কার্যালয়ে। সেই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেদনার্ত কাহিনি বর্ণিত হয়েছে কুবোফ্যক্তি বুলার উপন্যাসে। জীবনযাপনের গ্লানি ও আনন্দ এভাবেই ধরা দিয়েছে এই তিনটি আখ্যানে।
লেখকের পরিচিতি

মশিউল আলম জন্ম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে । মস্কোর পাত্রিস লুমুম্বা। গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু। করেন। বর্তমানে প্রথম আলাের জ্যেষ্ঠ। সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। গল্প। লেখার শুরু ১৯৮০-র দশকে। তাঁর লেখা উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযােগ্য তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, ঘােড়ামাসুদ, জুবােফস্কি বুলভার, মাংসের কারবার, পাকিস্তান, দ্বিতীয় খুনের কাহিনি, যেভাবে নাই হয়ে গেলাম, ব্লগার ও অন্যান্য গল্প, বাংলা দেশ ও অন্যান্য গল্প এবং দুধ। তাঁর গল্প ‘দুধ’ শবনম নাদিয়ার অনুবাদে “মিল্ক’ নামে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক হিমাল সাউদেশিয়ান শর্ট স্টোরি কমপিটিশন ২০১৯-এ শ্রেষ্ঠ গল্প হিসেবে পুরস্কৃত হয়। একই অনুবাদকের অনুবাদে দ্য মিট মার্কেট অ্যান্ড আদার স্টোরিজনামে তাঁর ইংরেজিতে প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ ২০২০ সালের আমেরিকান পেন/হাইম ট্রান্সলেশন। ফান্ড গ্র্যান্টস লাভ করে ।