বইটির বিবরণ
মনমরা জামাল স্যার চাঙা হয়ে উঠেছেন। কারণ তাঁর পুরানো স্বপ্নে দোলা লেগেছে। স্কুলের ড্রিল ক্লাসকে একশো মার্কসের সাবজেক্ট করার ইচ্ছা স্যারের বহুদিনের। আড়ালে সবাই তাঁকে হাফ মাস্টার বলে ডাকে, এই দুর্নাম ঘোচাতেই হবে। জামাল স্যারের আশাবাদী হওয়ার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে 'ভাবনা ক্লাসে'র সাফল্য। তিনি চাচ্ছেন এই সুযোগে ভাবনা আর ড্রিলকে একটা ঘুটা দিয়ে একশো মার্কসের সাবজেক্ট বানাতে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন জামাল স্যার। সঙ্গে অতি অবশ্যই লাবুদের নিয়েছেন আর নিয়েছেন নবাব স্যারের সম্মতি। কারণ কিসমতপুর হাই স্কুলে সব সিদ্ধান্তের মালিক হেডস্যার হলেও নবাব স্যারকে ডিঙিয়ে তাঁর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ নেই। নবাব স্যারের সম্মতি মিলেছে। পাওয়া গেছে লাবুদের দুর্দান্ত কিছু আইডিয়াও। এবার ভালো একটা দিন-তারিখ দেখে হেডস্যারের সামনে আইডিয়া বাস্তবায়নের পালা। নীরবে চলছিল তারই সব প্রস্তুতি। এরপর একে একে ঘটতে থাকে মজার সব ঘটনা।
লেখকের পরিচিতি
পলাশ মাহবুব লেখালেখি করছেন প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। শুরুটা ছড়া দিয়ে। এরপর গল্প; ছোট-বড় সবার জন্য। উপন্যাস লেখার শুরু তার কিছু পর থেকে। ‘লজিক লাবু’, তার জনপ্রিয় কিশোর সিরিজ। টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখছেন অনেক বছর ধরে। বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় নাট্যকারদের মধ্যে তিনি একজন। রম্য লেখায় পলাশ মাহবুবের আছে নিজস্ব কথনভঙ্গি। সাবলীল ভাষা আর বক্তব্যের তীক্ষ্ণতা তাঁর লেখার সৌন্দর্য। অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবেও পলাশ মাহবুব একটি অগ্রগণ্য নাম। টেলিভিশনের জন্য দুই হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন সম্মানজনক অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ড, এসিআই-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ আরও কিছু সম্মাননা। নির্মাতা হিসেবে পেয়েছেন নাট্যসভা পদক। পলাশ মাহবুব পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। সাংবাদিকতা আর অনুষ্ঠান নির্মাণের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। আছে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর অভিজ্ঞতা। পলাশ মাহবুব বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেট ও দৈনিক সারাবাংলা’র উপ সম্পাদক। পাশাপাশি সিসিমপুরের গণমাধ্যম পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।