বইটির বিবরণ
মানুষ বস্তুত জন্মগতভাবেই অপরাধপ্রবণ। কারণে-অকারণে সে অপরাধ করে, মিথ্যা কথা বলে। পোশাকি ভদ্রতা হয়তো তাকে বড়ো কোনো অপরাধ থেকে বিরত রাখে। যদি এমন বলা হতো যে অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে না, তাহলেই দেখতেন দুনিয়াটা কেমন খুনোখুনি-হানাহানির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠেছে। কথাগুলো বলছে দীপ, বছর বিশেকের একটি ছেলে, যে কি না বিনা টিকিটে চাটগাঁ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে লাফিয়ে ওঠে, ডিটেকটিভ অলোকেশের সফরসঙ্গী হয়। পরে জানা যায় দীপ ক্রিমিনোলজির ছাত্র, মনস্তত্ত্বে তার সীমাহীন কৌতূহল। কখনো কখনো অপরাধ করাটা জরুরি হয়ে ওঠে, চাইলেও তা এড়ানো যায় না। মানুষ তো আর যিশুখ্রিষ্ট নয় যে বারবার মার খেয়েও মাফ করে দেবে! দীপ হঠাৎ বলল, সে এমন একজনকে চেনে, যাকে একটা খুন করতে হবে, শিগগিরই। দীপের কথা শুনে ঘাবড়ে যায় উর্বী, বারবার ঢোক গেলে রিপোর্টার শুভজিত। আর অলোকেশ তাঁর সদ্য কেনা জার্মান সেমি-অটোমেটিক পিস্তল ওয়াল্টার পিপিকের গায়ে হাত বোলান। মানে বুঝতে চেষ্টা করেন জিনিসটা ঠিকঠাক আছে তো! কিন্তু কেন? কীসের আশঙ্কা করছেন অলোকেশ?
লেখকের পরিচিতি
অরুণ কুমার বিশ্বাস এক্স-নটরডেমিয়ান, ইংরেজি সাহিত্যে এমএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেন লন্ডনে। লেখালেখির শুরুটা তার কলেজকাল থেকেই। তিনি অসম্ভব প্রাণোচ্ছল একজন মানুষ। ঘুরতে পছন্দ করেন। নতুন দেশ নতুন মানুষ তার আগ্রহের বিষয়। বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, কবিতা, অ্যাডভেঞ্চার, উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দাগল্প। পেশাগত কাজের ফাঁকে (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখছেন। তিনি আড্ডার আমেজে জম্পেশ গল্পও বলেন। একসময় বিতর্ক করতেন। জীবন সম্পর্কে তিনি রীতিমতো কৌতুহলী। যাপিত জীবনের অলিগলি রাজপথ- সবখানে তার অবাধ বিচরণ। বাস্তবে না হোক, কল্পনায় তো বটেই। রোমাঞ্চকর লেখার বাইরেও তিনি ছোটোগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস লেখেন। তাঁর জন্ম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাধীন জহরের কান্দি গ্রামে। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। তারাও লেখে। পুরো লেখক পরিবার।