Online Update

Keep in touch for online update.

পরীক্ষা হলে করণীয়


পরীক্ষার খাতা পাওয়ার পর করণীয়
প্রথমে আত্মবিশ্বাস,দৃঢ় মনোবল নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার হলে খাতা পাওয়ার পর সময় থাকলে প্রতি পৃষ্ঠার বামপাশে ও ওপরে এক ইঞ্চি এবং নিচে হাফ ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রেখে পেন্সিল বা কলম দিয়ে মার্জিন টেনে নেয়া ভালো। আর যদি সময় না পাওয়া যায়,তাহলে লেখার সময় অনুরূপ জায়গা ফাঁকা রেখে লিখতে হবে অবশ্যই। নতুবা উত্তরপত্র তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলবে। আর ভালো নাম্বার পাওয়ার জন্য এটিও অনেক জরুরি। তবে এ কাজগুলো করতে গিয়ে পরীক্ষার মূল সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রতি পৃষ্ঠার ওপরে বা নিচে ক্রমিক নাম্বারও বসানো প্রয়োজন। এতে পরীক্ষক সন্তুষ্ট হন। খেয়াল রাখা উচিত যাতে খাতাটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে।
 
প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর যা করণীয়
পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর খুব সতর্কতার সঙ্গে পড়তে হবে। পরীক্ষার হলে অনেক পরীক্ষার্থী তাড়াতাড়ি প্রশ্ন পড়তে গিয়ে প্রশ্নের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ দিয়ে যায়। তাই তাদের এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এ ছাড়া পরীক্ষার কোন অংশে কত সময় ব্যয় করতে হবে তা আগেই নির্ধারণ করে রাখতে হবে। যে প্রশ্নের উত্তরগুলো তোমাদের জানা আছে সেগুলো আগে উত্তর দিয়ে নেবে। এবার কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। দেখবে অনেক কঠিন প্রশ্নও তোমাদের কাছে সহজ বলে মনে হচ্ছে। প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। কারণ এতে অনেক উত্তর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সন্দিহান থাক তাহলে ওই প্রশ্নের উত্তর না দেয়াই ভালো। তবে যদি একান্তই দিতে হয় অনুমান করে উত্তর দেয়া যায়। এতে উত্তরটি সঠিক না হলেও অন্তত ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। পরীক্ষার হলে অন্যের সাহায্য নিতে গিয়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই। নিজে নিজে চেষ্টা করাই ভালো। কারণ পরীক্ষায় এমন কোনো প্রশ্ন আসে না যা তোমাদের পড়া নেই বা জানা নেই। সময় শেষ হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্রের উত্তর দেয়া শেষ হয়ে গেলে বের না হয়ে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে উত্তরগুলো বার বার দেখ। তাতে কোনো ভুল থাকলে তা বের হয়ে আসবে।

লেখার ধরন যেমন হওয়া উচিত
সুন্দর ও স্পষ্ট অক্ষরে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত। কাটাকাটি বা ওভাররাইটিং যথাসম্ভব করবে না। পরীক্ষার পুরো উত্তরপত্র যেন পরিষ্কার থাকে। কোনোরকম ঘষামাজা না থাকাই ভালো। একটি প্রশ্নের উত্তর লিখে একটু জায়গা রেখেই আরেকটি শুরু করবে। আবার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্যারা করে লিখলে একটু ভালো দেখা যায় এবং বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়। হাতের লেখার সাইজ অনুযায়ী ১ পৃষ্ঠায় ১০ থেকে ১৫ লাইন পর্যন্ত লেখা যেতে পারে। লেখা ভুল হলে একটান দিয়ে কেটে দিতে হবে। অনেকের হাত লিখতে লিখতে ঘেমে যায়। তারা যেন রুমাল ব্যবহার করে। পরীক্ষায় বলপেন দিয়ে লিখতে হবে। পরীক্ষার হলে ডিউটিরত শিক্ষক ও অফিসারদের সঙ্গে শোভনীয় আচরণ করবে। কোনোরকম অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করা যাবে না।

পরীক্ষার খাতা জমা দেয়ার আগে
সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হয়ে গেলে খাতা জমা দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি না করাই ভালো। লেখা শেষে খাতা জমা দেয়ার আগে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে। কোথাও কোনো ভুল আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর লেখা হয়েছে কিনা, প্রশ্নের নাম্বারগুলো ঠিক আছে কিনা, খাতার কোনো পৃষ্ঠা বাদ পড়েছে কিনা, অযথা কোনো বাক্য লেখা হয়েছে কিনা ইত্যাদি ভালো করে দেখে নিতে হবে। পরীক্ষার হল থেকে আগে বের না হয়ে সময় পাওয়া গেলে পরীক্ষার উত্তরপত্রটি বার বার রিভিশন দিয়ে একবারেই শেষের দিকে পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়া ভালো। আর অতিরিক্ত খাতা নেয়া হলে তা ভালোভাবে বাঁধাই করে নেবে।
 

Related Updates