বইটির বিবরণ
বীভৎসভাবে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী রশিদ কোরেশিকে। বিছানায় শায়িত তাঁর লাশ অথচ পায়ে জুতো। রক্তে পাওয়া যায় উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল ও সিডেটিভ। খুনটা হয়েছে তাঁর নিজের ঘরে, যেখানে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রশিদ কোরেশির জীবন বহুমাত্রিক। যদিও জমি কিনে ভরাট করে সেখানে বহুতল ভবন তুলে চড়া দামে বিক্রি করাই তাঁর পেশা। এই কাজ করতে গিয়ে অগুনতি লোকের সঙ্গে তাঁর শত্রুতার সূত্রপাত!
এই কেসের আইও ইন্সপেক্টর মামুনের সঙ্গে কাজে নামেন ডিটেকটিভ অলোকেশ রয় ও তাঁর টিম। কোরেশির খুনের মোটিভ খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো চমকে ওঠেন অলোকেশ। পৃথিবীতে কে তাঁর শত্রু নয়! ইট-বালুর কারবারি নাসির থেকে শুরু করে টং-নুরু, ভাড়াটে জামান, দারোয়ান বান্টি, বন্ধু-পত্নী জেসিকা, এমনকি তাঁর ড্রাইভার মজনুও তাঁকে মারতে চায়! কেমন গুণধর লোক এই রশিদ কোরেশি! এত খুঁজেও প্রকৃত খুনির সন্ধান কিছুতেই মেলে না।
কিন্তু অলোকেশ যখন মাঠে নেমেছেন শেষ না দেখে তিনি ছাড়বেন কেন? অবশেষে খুনিকে খুঁজে পেয়ে তিনি বিস্মিত। এ-ও কি সম্ভব!
লেখকের পরিচিতি

অরুণ কুমার বিশ্বাস এক্স-নটরডেমিয়ান, ইংরেজি সাহিত্যে এমএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেন লন্ডনে। লেখালেখির শুরুটা তার কলেজকাল থেকেই। তিনি অসম্ভব প্রাণোচ্ছল একজন মানুষ। ঘুরতে পছন্দ করেন। নতুন দেশ নতুন মানুষ তার আগ্রহের বিষয়। বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, কবিতা, অ্যাডভেঞ্চার, উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দাগল্প। পেশাগত কাজের ফাঁকে (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখছেন। তিনি আড্ডার আমেজে জম্পেশ গল্পও বলেন। একসময় বিতর্ক করতেন। জীবন সম্পর্কে তিনি রীতিমতো কৌতুহলী। যাপিত জীবনের অলিগলি রাজপথ- সবখানে তার অবাধ বিচরণ। বাস্তবে না হোক, কল্পনায় তো বটেই। রোমাঞ্চকর লেখার বাইরেও তিনি ছোটোগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস লেখেন। তাঁর জন্ম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাধীন জহরের কান্দি গ্রামে। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। তারাও লেখে। পুরো লেখক পরিবার।